প্রথম দেখায় ভালো লেগে যাওয়ার বিষয়টা কাজ করে জোহরা আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ এর ক্ষেত্রে। এই নিয়ে আমি একাধিকার বার প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়েছি। অনেকটা সময় কাটিয়েছি। সত্যি বলতে কি আমার খুবই ভালো লেগেছে। ভৌগলিক অবস্থান, আশেপাশের পরিবেশ, সুপরিসর অথচ সুনসান নিরব প্রতিষ্ঠানটিতে কিযেনো একটা মায়া মায়া ভাব আছে। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের চারিদিকে ফলজ বৃক্ষ এবং ক্লাস রুমের সামনে ফুলগাছের সারি দেখে এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সুন্দর মনের পরিচয় পাওয়া যায়, যা নতুন প্রতিষ্ঠান হিসেব যথেষ্ট কৃতিত্বের দাবিদার।
ছেলে এবং মেয়েদের ভবন আলাদা করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাস রুমের ভেতরটা খেয়াল করে দেখেছি গোছানো এবং পরিপাটি এবং ময়লামুক্ত। সবচাইতে ভালো লেগেছে প্রতিটি রুমের কোনে একটি করে সুন্দর ডাস্টবিন দেখে।
নামাজের সুপরিসর স্থান দেখে অজান্তেই এর পেছনের মানুষগুলোর জন্য মন থেকে দোওয়া চলে এলো। আল্লাহ তাদেরকে নিশ্চয়ই এর যথাযোগ্য পানাহ দান করবেন।
দ্বিতীয়বার গিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে দেখা হলো। মনে হলো প্রতিষ্ঠান প্রধান এমনই হওয়া উচিত। যথেষ্ট করিতকর্মা লোক, উচ্চ শিক্ষিততো বটেই, সাইকোলজিতে উন্নততর ডিগ্রি নিয়ে দেশের বড় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরী করছেন। এমন ব্যক্তি যখন একটি প্রতিষ্ঠানের পেছনে সামনে উপরে নিচে থাকে তখন সে প্রতিষ্ঠানের উন্নতি অবসম্ভাবি।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক প্রৌঢ় অথচ যথেষ্ট এগ্রেসিভ এবং গতিশিল মনে হলো। অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে যদিও আমার ইন্ডভিজুয়াল আলাপ পরিচয় হয়নি কিন্তু আমার মনে হয়েছে শিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট যাছাইবাছাই করা হয়েছে।
আশা করছি: অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটি একটা সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচিতি লাভ করবে।