এম.এস. এক্সেল

۞ এক্সেল সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা 📂
উইন্ডোজ ভিত্তিক এ Application প্রোগ্রামটির সাহায্যে জটিল গাণিতিক পরিগণনা, তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং তথ্যকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপনায় নিখুঁত ভাবে চার্ট বা গ্রাফ তৈরী করা ইত্যাদি ছাড়াও আরও অনেক জটিল কাজকে সহজে সমাপন করা যায়। এক্সেলের সুবিশাল পৃষ্ঠাটি কলাম ও সারিভিত্তিক সেলে বিভক্ত হওয়ায় এতে বিভিন্ন তথ্য সন্নিবেশ করে তথ্য বিশ্লেষণ করা যায় বলে একে স্প্রেডশীট এনালিসিস প্রোগ্রাম বলা হয়।


۞ মাইক্রোসফট এক্সেল (Microsoft Excel) প্রোগ্রাম চালু করার নিয়মঃ
Start> All Programs> Microsoft Office> Microsoft Office Excel2010-এ প্রবেশ করলে ডিফল্টভাবে অনেকগুলো রো-কলাম বিশিষ্ট একটি সাদা Page আমাদের সামনে ওপেন হবে।

۞ মাইক্রোসফট এক্সেল (Microsoft Excel) এর Windows পরিচিতিঃ
Default setting অনুসারে Excel Window এ Microsoft Word এর ন্যায় Title bar, Menu bar, Tool bar, Name Box, Formula bar, Horizontal & Vertical Scale ইত্যাদি থাকে।

নিচের ছবিটি এক্সেল এর ইউন্ডো। আমরা রো আর কলাম সম্পর্কে জানি। একটি টবিল তৈরী হয়ে কিছু রো এবং কলাম এর দ্বারা। উপর নিচ খাড়া ভাবে যে লাইনগুলো থাকে সেগুলো হলো কলাম এবং আড়াআরি ভাবে যে লাইনগুলো থাকে সেগুলো হলো রো। রো এবং কলাম মিলিত হয়ে যে ঘরটি তৈরী হয়া সেগুলোকে বলা হয় সেল।

  1. Ribbon
  2. Name Box
  3. Formula Box
  4. Column
  5. Row
  6. Cell
  7. Work Sheet



একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন মাইক্রোসফ ওয়ার্ড চালু করলে দাড়ি/লম্ব রেখার ন্যায় একটি দাগ মিটমিট করে উঠানামা করে কিন্তু মাইক্রোসফট এক্সেল-এর ক্ষেত্রে এরূপ নেই বরং এর পরিবর্তে একটি সেল হাইলাইট হয়ে থাকে। লেখা শুরু করলে প্রথম সেল থেকে লেখা প্রদর্শিত হবে। 

এখন প্রশ্ন আসতে পারে- ‘সেল’ কি? বা সেল কাকে বলে? তাহলে এককথায় উত্তর দেয়া যায়- “রো আর কলামের মিলিত স্থানকে সেল বলা হয়।” আবার প্রশ্ন দেখা দিতে পারে রো কি এবং কলাম কি? তার উত্তরে বলতে হয়- “পাশাপাশি কিছু সরল রেখা অঙ্কন করাকে রো বা সারি এবং উপরে নীচে কিছু সরল রেখা অঙ্কন করাকে কলাম বলা হয়।” Excel প্রোগ্রামে সর্বমোট 10,48,576টি রো বা সারি আছে এবং 16,384টি কলাম আছে। উল্লেখ্য পূর্বের ভার্সনে রো এবং কলামের সংখ্যা অর্ধেকেরও কম ছিল।রো বা সারি গুলো 1.2.3.4.5,6……..এভাবে সাজানো আছে। কলাম হলো ওয়ার্কশীটের উপরে A,B,C,D,E,F………… এভাবে সাজানো থাকে। আপনি সর্বমোট রো এর সংখ্যা দেখার জন্য কন্ট্রোল কী চেপে রেখে ডাউন এ্যারো চাপতে হবে। আর সর্বশেষ কলাম দেখার জন্য কন্ট্রোল কী চেপে রেখে রাইট এ্যারো কী চাপতে হবে। রো এর সংখ্যা সরাসরি লিখা থাকলেও কলামের সংখ্যা সরাসরি লিখা থাকে না বরং XFD থাকবে। 

۞ মাইক্রোসফট এক্সেল (Microsoft Excel) এর Spreadsheet কি ?
স্প্রেডশীট শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো ছড়ানো পাতা। এখানে Spread শব্দের অর্থ ছড়ানো আর sheet শব্দের অর্থপাতা। একসঙ্গে Spreadsheet অর্থ ছড়ানো পাতা। গ্রাফ কাগজের ন্যায় X অক্ষ এবং Y অক্ষ বরাবর খোপ খোপ ঘরের ন্যায়অনেকগুলো ঘর সম্বলিত বড় শীটকে স্প্রেডশীড বলে।

۞ মাইক্রোসফট এক্সেল (Microsoft Excel) এর Worksheet কি ?
মাইক্রোসফট এক্সেল-এর সুবিশাল পাতার যে অংশে কাজ করা হয় তাকে Worksheet বলে। মূলতঃ স্প্রেডশীটই হলোWorksheet। একটি খাতায় যেমন অনেকগুলো পাতায় লেখা যায়, এক্সেলেও তেমনি ভিন্ন ভিন্ন ওয়ার্কশীট খুলে তাতে কাজকরা যায়। সাধারণতঃ Microsoft Excel ওপেন করলে Worksheet1, Worksheet2 ও Worksheet3 নামে তিনটি Worksheet খোলা থাকে আর Worksheet1 কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকে। আপনি চাইলে উক্ত সীটে কাজ না করে পরবর্তী সীটগুলোতে মাউস দিয়ে ক্লিক করে ঐ সীটে কাজ করতে পারবেন।

۞ Title bar কি ?
Excel Windows এর শীর্ষদেশে Microsoft Excel Book 1(File Name) লেখা বারটিকে Title bar (টাইটেল বার) বলে।সেভ করা কোন ফাইল বা ডকুমেন্ট ওপেন করলে Title bar-এ সেভ করা ফাইলের নামটি প্রদর্শিত হয়। এর ডান পাশেমিনিমাইজ, ম্যাক্সিমাইজ ও ক্লোজ বাটন থাকে। মিনিমাইজ বাটনের কাজ হচ্ছে ফাইলটিকে ছোট করে পর্দা থেকে অদৃশ্য করে দেয়া। ম্যাক্সিমাইজ বাটনে ক্লিক করলে ফাইলটি প্রথমবার (প্রথম ক্লিকে) কিছুটা ছোট হবে এবং পরের বার বড় হবে। ক্লোজ বাটনের কাজ হচ্ছে ফাইলটিকে বন্ধ করে দেয়া।

۞ Menu bar কি ?
টাইটেল বারের নীচে File, Home, Insert, Page Layout, References, Mailings, Review, View, Add-Ins ইত্যাদি লেখাবারকে Menu bar বলে। Menu bar এর শুধুমাত্র File Menu-তে কিছু সাব মেনু আছে বাকি মেনুগুলোতে শুধুমাত্র বিভিন্ন টুল আছে।

۞ Tool bar কি ?
মেনু বারের নীচে বিভিন্ন প্রতীক সম্বলিত বারকে টুলবার বলে। প্রত্যেকটি প্রতীকের বাটনকে আইকন বা টুল বাটন বলাহয়। টুলগুলোর উপর মাউস ধরলে টুলের নাম পাওয়া যায়। মেনু সিলেক্ট করে কোন কমান্ড দেওয়ার চেয়ে এই টুলব্যবহার করে খুব দ্রুত কার্য সম্পন্ন করা যায়। 

۞ Formula bar কি ?
টুলবারের নীচে লম্বা দুই অংশে বিভক্ত বারটিকে ফর্মূলা বার বলা হয়। ফর্মূলা বারের বাম পাশের অংশ যেখানে সেলএড্রেস প্রদর্শিত হয় সে অংশকে Name Box বলা হয়। মাউসের পয়েন্টার বা কার্সর যে সেল এ রাখা হবে Name Box -এসেই সেলের এড্রেস প্রদর্শিত হবে। Name Box এর ডান পাশেই Formula Box, এই বক্সে ফর্মূলা প্রদর্শিত হয়।

۞ Vertical and Horizontal Scroll bar কি ?
এক্সেল-এর অনেক বড় ডকুমেন্টে কাজ করার সময় পর্দায় সব দেখা যায় না। প্রয়োজন অনুসারে দ্রুত ডকুমেন্ট এর যেকোন জায়গায় গিয়ে পর্দায় প্রদর্শন করার সুবিধার্থে পর্দার ডানদিকে ভার্টিকেল স্ক্রলবার এবং পর্দার নীচে হরিজন্টালস্ক্রলবার আছে। এই স্ক্রলবার দু’টোর ডানে ও বামে দু’টো এরো বার্টন আছে। মাউসের পয়েন্টার দিয়ে এই এরো বার্টন এক্লিক করে অথবা স্ক্রল করে উপর নীচে ইচ্ছামত দেখা যায় বা যাওয়া যায়। মাইক্রোসফট এক্সেল (Microsoft Excel)

۞ Status bar কি ?
মাইক্রোসফট এক্সেল-এর ওয়ার্কবুক উইন্ডোর সর্বনিম্নে টাস্ক বারের উপরের বারকে স্টেটাস বার বলা হয়। এতেডকুমেন্টের স্টেটাস বা অবস্থা (অন অথবা অফ) প্রদর্শিত হয়। এই স্টেটাস বারের বাম পাশে Ready লেখা থাকলে বুঝতেহবে কার্সর সেলে আছে এবং এ অবস্থায় কাজ করা যাবে। কোন লেখা Edit করার সময় এখানে এই এডিট লেখা দেখাযাবে এবং শেষ হলে আবার রেডি মুড ফিরে আসবে।

۞ Sheet Tab কি ?
এক্সেল ওয়ার্কবুক উইন্ডোর নীচে বামদিকে শীট ট্যাব থাকে। একটি ওয়ার্কবুকে সাধারণতঃ তিনটি ওয়ার্কশীট থাকে।যেমনঃ Sheet 1, Sheet 2, Sheet 3 । এছাড়াও প্রয়োজনে Insert মেনু থেকে Worksheet কমান্ড দিয়ে নতুন শীট সন্নিবেশকরা যায়। সব শীটের নীচে শীট ট্যাব থাকে। যে শীটের নামের শীট ট্যাবে ক্লিক করা হবে সে শীটটি চালু হবে।

ফাইল মেনুস্থ বিভিন্ন সাব-মেনু পরিচিতি

মাইক্রোসফট এক্সেল-এর প্রথম মেনু হচ্ছে ফাইল (File) মেনু। এই মেনুর সাহায্যে ওয়ার্ক বুক এর লেখা সংরক্ষণ (সেভ) করা, সাম্প্রতিক তৈরি করা ফাইল দেখা, ক্লোজ করা, প্রিন্ট প্রিভিউ দেখা, নতুন ফাইল তৈরি করা, পূর্বের সেভ করা ফাইল ওপেন করা, ডকুমেন্টেরপেজের সাইজ, মার্জিন নির্ধারণ করা, প্রিন্ট করা ইত্যাদি কাজ করা হয়ে থাকে। আমরা নিম্নে ধারাবাহিক ভাবে ফাইল মেন্যুর সাবমেন্যুগুলোর কাজ সম্পর্কে জানবো। 


1. Save (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+S): কাজ করার পর প্রয়োজনীয় যে কোন ওয়ার্ক বুক কম্পিউটারে সংরক্ষণ করতেহয়। কোন ওয়ার্ক বুক সেভ করার জন্য File Menu-এর এই সাবমেন্যুটি ব্যবহার করতে হয়। কোন ওয়ার্ক বুক সংরক্ষণ করতেহলে File এ ক্লিক করতে হবে তারপর Save এ ক্লিক করতে হবে অথবা কী বোর্ড থেকে শর্ট কাট কী Ctrl চেপে রেখে Sচাপতে হবে।তাহলে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে।
উক্ত ডায়লগ বক্সের File name-Box-এ ফাইলটি কোথায় সেভ হবে তা দেখিয়ে দিতে হবে।এই দেখিয়ে দেয়াকে ফাইল লোকেশান বলে। নতুনদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ হচ্ছে ভুল করেও প্রয়োজনীয় ফাইল My Documents এ সেভ করবেন না। কেননা, কোন কারনে আপনার কম্পিউটার ফরমেট দেয়ার প্রয়োজন হলে আপনার ফাইলটিকে উদ্ধার করতে পারবেন না। যা লোকাল ডিস্ক সি ড্রাইভ/My Documents এর পরিবর্তে অ্ন্য যে কোন ড্রাইভে রাখলে শতবার ফরমেট দেয়ার পরও ফাইল/Work Bookটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে (যদি আপনার Hard Disk সম্পূর্ণ নষ্ট না হয়ে যায়)। উল্লেখ্য, যে কোন Work Book/ফাইলের নাম দেয়ার সময় কাজের সাথে মিল রেখে নাম দিলে পরবর্তীতে তা উদ্ধার করা সহজ হবে। যেমন- আপনি একটি প্রয়োজনীয় বেতন সীট তৈরি করে নাম দিলেন abc/draft যা আপনি পরবর্তীতে ভুলে যেতেই পারেন; তার পরিবর্তে আপনি যদি ফাইলের নাম Salary Sheet দিয়ে সেভ করেন তাহলে পরবর্তীতে সহজেই তা খুজে বের করা সহজ হবে। 
আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, আপনার কম্পিউটারে যে কয়টি ড্রাইভ আছে [C:, D:, E:] তার প্রত্যেকটিতে আপনি আপনার নামে Folder খুলতে পারবেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত নিয়ম জানতে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর সেভ সেকশনটি দেখে আসতে পারেন।

আপনি মাইক্রোসফট এক্সেল-এর কোন ফাইল সেভ করতে চাইলে File name box-এ লিখুন F:\Shafayet\Salary sheet (F:\আপনার নাম\ফাইলের নাম) তারপর Save বাটনে ক্লিক করুন।

2. Save As (কী-বোর্ড শর্ট কাট কী F12): উপরোক্ত নিয়মে সেভ করা ফাইলটি অন্য আরেকটি নামে সেভ করার জন্য Save Asসাবমেন্যু ব্যবহার হয়। এই পক্রিয়াটি সেভ করার মতই। Save As অপশনে ক্লিক করলেও ফাইলটি আগে থেকে সেভ করা না থাকলে প্রথমে সেভ হবে আর যদি আগে থেকে সেভ করা থেকে থাকে তাহলে ফাইলটির নতুন একটি কপি (ডুপ্লিকেট) তৈরি হবে। উল্লেখ্য, একই ফোল্ডারে একই নামে একাধিক ফাইল সেভ হবে না বরং নাম পরিবর্তন করে দিতে হবে।

3. Open (কী-বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+O): আগের Save করা কোন ফাইলকে ডেস্কটপ/ল্যাপটপ স্ক্রীনে আনতে এই সাবমেন্যুটিব্যবহার হয়। এক্ষেত্রে প্রথমে File মেনু থেকে Open সাব মেনুতে ক্লিক করলে একটি ডায়ালগবক্স আসবে। এখান থেকেআমাদের Save করা ফাইল সিলেক্ট করে কিংবা ফাইল লোকেশন লিখে (F:\Shafayet\Application) Open কমান্ড বাটনে এক্লিক করতে হবে। তাহলে Save করা ফাইল Scrin বা পর্দায় প্রদর্শিত হবে।

4. Close (কী-বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+W): কাজ করার সময় যদি স্ক্রীনে প্রদর্শিত ফাইলটি বন্ধ করার প্রয়োজন হয় তাহলে এইসাবমেন্যুর সাহায্যে তা করা হয়। এক্ষেত্রে File মেনুতে ক্লিক করে Close সাব মেনুতে ক্লিক করতে হবে কিংবা উপরে উল্লেখিত Ctrl কী চেপে রেখে W কী চাপতে হবে। ডকুমেন্টটি সেভ না থাকলে সেভ করতে চান কিনা তার জন্য একটি চেকবক্স/কমান্ড আসবে। এখানে সেভ করতে চাইলে Yes, সেভ না করতে চাইলে No তে ক্লিক করতে হবে। মাইক্রোসফট এক্সেল (Microsoft Excel)

5. Info: উক্ত অপশনের সাহায্যে মাইক্রোসফট এক্সেল টিউটরিয়াল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবে।

6. Recent: উক্ত অপশনের মাধ্যমে সম্প্রতি কাজ করা ফাইলগুলোর লিষ্ট দেখা যাবে এবং প্রয়োজনীয় ফাইল এই লিষ্টে ক্লিক করে ওপেন বা খোলা যাবে।

7. New (কী-বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+N): উক্ত সাবমেন্যুর সাহায্যে নতুন একটি Work Book তৈরি করা হয়। একটি ফাইলের কাজ করা শেষ হওয়ার পর নতুন ফাইলের দরকার হলে ফাইল মেন্যুতে ক্লিক করে New Sub Menu এ ক্লিক করলে একটাTask Pane বক্স আসবে-এ Task Pane বক্স থেকে Create এ ক্লিক করলে একটি নতুন পেইজ ওপেন হবে।

8. Print (কী-বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+P): কাজ শেষে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের লেখা প্রিন্ট করতে হলে এই সাব মেন্যুর ব্যবহারহয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে প্রিন্ট দিতে হলে কম্পিউটারে অবশ্যই প্রিন্টার সফটওয়্যার ইনস্টল থাকতে হবে এবংকম্পিউটারের সাথে ডাটা কেবল দিয়ে প্রিন্টারটি সংযুক্ত থাকতে হবে, এরপর প্রিন্টারটি অন করুন। File থেকে Print এ ক্লিককরুন। একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এখান থেকে উপরে Printer Name বক্স থেকে যে প্রিন্টারে প্রিন্ট করবেন তা সিলেক্ট করতেহবে। তারপর Page Range থেকে All নির্বাচন করুন যদি ডকুমেন্টের সব পেজ প্রিন্ট করতে চান, অথবা Current Page নির্বাচনকরুন যদি যে পেজে কার্সর আসে সে পেজ প্রিন্ট করতে চান, অথবা Pages এ পৃষ্ঠা নম্বর দিন যেগুলো প্রিন্ট করতে চান। এখানেযদি আমি 1-5 এই রকম দেই তাহলে ১ থেকে ৫ নং পৃষ্ঠা পর্যন্ত প্রিন্ট হবে, এরপর Copies বক্স থেকে আপনি কত কপি প্রিন্টচান তা টাইপ করে দিন।তারপর সবশেষে OK তে ক্লিক করলে প্রিন্ট শুরু হবে।

9. Save & Send: ইন্টারনেট সংযোগ থাকা অবস্থায় এই সাব মেন্যুর সাহায্যে Work Book এর যাবতীয় তথ্য সেভ করে রাখার পাশাপাশি ই-মেইল করা যাবে।

10. Help: এই সাব মেনুর সাহায্যে মাইক্রোসফট এক্সেল বিষয়ে আপনার কোন কিছু সাহায্যের প্রয়োজন হলে অপশনটি ব্যবহার করে অনায়াসে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।


11. Options: এই সাব মেনুটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেননা আপনি Work Book এর প্রয়োজনীয় সেটিং এখান থেকে ঠিক করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- স্ক্রীনে স্কেল শো করবে কি করবে না, টুলবারের ধরন কি হবে ইত্যাদি উক্ত সাব মেনু থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


12. Exit (শর্ট কাট কী Alt+F4): মাইক্রোসফট এক্সেল থেকে বের হয়ে যেতে হলে এই সাবমেন্যুটি ব্যবহার হয়। কিছু লেখার পর (সকল লেখা মুছে ফেলা হলেও) Work Book/ফাইলটি বন্ধ করতে চাইলে File মেনুর Exit সাব মেনুতে ক্লিক করুন। Work Book টি সবশেষে সেভ না থাকলে একটি উইন্ডো আসবে। আপনি যদি সব শেষ অবস্থা সেভ করতে চান তাহলে Yes এবংসেভ না করতে চাইলে No বাটন-এ ক্লিক করুন। উল্লেখ্য, আপনার Work Book সেভ করা থাকলে কিছুক্ষণ পর পর কন্ট্রোল চেপে এস দিন অথবা সেভ টুল-এ ক্লিক করুন, তাতে আপনার ফাইলটি সেভ হতে থাকবে এবং বিদ্যুৎ চলে গেলে সবে শেষে সেভ করা অংশটুকু সেভ থাকবে, তা না হলে আপনার কষ্ট করে তৈরি করা ফাইলের কাজ মুছে যেতে পারে।

MS EXCEL –এর মেনুবারের Home মেনু সম্পর্কে ধারনা

মাইক্রোসফট এক্সেল-এ কাজ শুরু করার সময় স্বাভাবিকভাবেই Home Menu সিলেক্ট করা থাকে। যার উপরে সেভ, আন ডু ও রেডু টুল ছাড়াও নীচে পেষ্ট, কাট, কপি, বোল্ড, ইটালিক, আন্ডারলাইন, ফন্ট, ফন্ট সাইজ, কালার, এ্যালাইনমেন্ট, প্যারাগ্রাফ, সেম্বল, এ্যাসেনডিং ইত্যাদি টুল থাকে। যার ফলে পূর্বের যে কোন ভার্সন থেকে অতি দ্রুত ও নির্ভূল কাজ করা সম্ভব হয়। নিম্নে সংক্ষেপে টুল নিয়ে আলোচনা করা হলো (মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও মাইক্রোসফট এক্সেল এর টুলবারের ধরণ একই হওয়ায় সময় বাঁচানোর স্বার্থে....):

* Undo (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+Z): মাইক্রোসফট এক্সেল –এ ইচ্ছাকৃত কিংবা ভুলবশত কোন কাজ হয়ে গেলে পূর্বের অবস্থায় ফেরৎ যাওয়ার জন্য এই সাব মেন্যুটি ব্যবহারহয়। এজন্য টুল বার থেকে Undo টুল-এ ক্লিক করলে হবে অথবা কিবোর্ডে Ctrl+Z কী চাপতে হবে।


* Redo (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+Y): মাইক্রোসফট এক্সেল –এ ইচ্ছাকৃত অথবা ভুলবশত প্রয়োজনাতিরিক্ত আনডু হয়ে গেলে রেডু টুলের সাহায্যে কিংবা Keyboard এ Ctrl+Y চেপে পুনরায় পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়া যায়।

* Cut (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+X): মাইক্রোসফট এক্সেল –এর প্রয়োজনীয় কিংবা অপ্রয়োজনীয় কোন লেখাকে মুছে ফেলার জন্য কিংবা স্থানান্তর করার জন্য কাট টুলটি ব্যবহার করা যায়। তা করার জন্য প্রথমে লেখা কিংবা ছবি (যতটুকু প্রয়োজন) সিলেক্ট করতে হবে। তারপর টুল বারের সিজার/কাঁচি চিহ্নিত টুলটিতে ক্লিক করতে হবে কিংবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+X চাপতে হবে। 

* Copy (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+C): মাইক্রোসফট এক্সেল –এর একই লেখা বা ছবি বারংবার লেখার/স্থাপনের প্রয়োজন হলে Copy Tool টি ব্যবহার করা যায়। তা করার জন্য প্রথমে প্রয়োজনীয় লেখা/ছবি সিলেক্ট/ব্লক করে নিতে হবে। তারপর টুল বারের Copy টুলটিতে ক্লিক করতে হবে কিংবা কী বোর্ড থেকে Ctrl+C চাপতে হবে।উল্লেখ্য, লেখা বা ছবিতে যে কোন পরিবর্তন আনার জন্য অবশ্যই সিলেক্ট করে নিতে হবে। 

* Paste (কী বোর্ড শর্ট কাট কী Ctrl+V): মাইক্রোসফট এক্সেল –এর Cut or Copy করা লেখা/ছবি যেখানে স্থাপন করতে ইচ্ছুক সেখানে কার্সর রেখে (মাউস দিয়ে ক্লিক করে স্থান নির্বাচন করে) এই Paste Tool এ ক্লিক করতে হয় কিংবা Keyboard থেকে Ctrl+V চাপতে হয়।



এক্সেলে কি করা যায়?
এক্সেলে আমরা কি কি শিখবো?
এসো এক্সেল প্রোগ্রাম শুরু করি

@templatesyard