ক্লাস রুমে শিক্ষার্থীদেরকে পাঠ বোঝানোর জন্য শিক্ষকদের চেষ্টার অন্ত নেই। একই বিষয় বার বার বুঝিয়ে/চেচিয়ে, শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে, অনুরোধ করে, জোর করে এবং সর্বশেষে বুঝিয়ে শুনিয়ে প্রানান্ত চেষ্টা থাকে কি করে নির্ধারিত পাঠ টি শিক্ষার্থীর জ্ঞানে যোগ করা যায়।
যারা শিক্ষক হন তারা অবশ্যই শিক্ষিত এবং শিক্ষকতার যোগ্যতা নিয়েই শ্রণি কক্ষে যান। একজন শিক্ষকের কায়মনোবাক্যে স্বপ্ন থাকে তার ক্লাসের শিক্ষার্থীদেরকে নির্ধারিত পাঠগুলো সুন্দর করে এবং সম্পুর্ণ ভাবে বোঝাতে পারা।
বুঝতে পারা শিক্ষার্থীরা আসলেই যে বুঝতে পেরেছে তার বহিপ্রকাশ ঘটে 'পরীক্ষা' নামক অপারেশনে। এখানে পরীক্ষাকে অপারেশনের সাথে কেনো তুলনা করেছি তা পরে বলছি।
পরীক্ষার খাতায় শিক্ষার্থীদের প্লেগ্রাউন্ডে তাদের বুঝতে পারা পাঠগুলো কিভাবে সার্ভ করেছে তা দেখার পর বেশিরভাগ শিক্ষকই উপর্যুপরি নিরাশ হন।
কারন,
বেশীর ভাগ শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষার খাতায়-
- ১০০ নম্বরের মধ্যে টেনেটুনে ৩৪ পেয়েছে
- শ্রেণি কক্ষে পাঠ দানের সাথে খাতার লেখার কোন প্রকার মিল নেই
- খাতার লেখায় চুড়ান্ত অজ্ঞানতার পরিচয়
- বানানে অসংখ্য ভুল ও অশুদ্ধতা
- প্রশ্নের সাথে উত্তরের অমিল
- যা ইচ্ছে হয়েছে তাই খাতায় লিখে রাখা
- নম্বর দেয়ার মতো কোন তথ্য খুজে পাওয়া যায় না, ইত্যাদি.....
এসব সমসার পেছনের কারণ হিসেবে কি হতে পারে বলে আমরা ধরে নেই-
- শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় ঘাটতি এবং অযোগ্যতা
- শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় অমনোযোগ
- শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জেনারেশন গ্যাপ
- প্রতিষ্ঠানের অপরিপক্কতা ও সিদ্ধান্তহীনতা
- পাঠক্রম কিংবা শিক্ষা ব্যবস্থায় ত্রুটি, ইত্যাদি.....
বিশ্লেষন, ষ্টাডি, সার্ভে ও রিসার্চ জাতিয় গুরুত্বপুর্ণ কার্যক্রম পরিচালনার পর উপরে আমাদের ধরে নেয়া কারণগুলোর মধ্যে কি কি পার্থক্য খুজে পাওয়া যেতে পারে-
- বিচ্ছিন্ন যোগসূত্র
- কিংকর্তব্যবিমুঢ়
কিছুটা বিশ্লেষণঃ
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের দেয়া পাঠ(নজস্ব উদ্দীপকসহ), পাঠ্য বইয়ের তথ্য, গাইড বইয়ের মতবাদ, শিক্ষার্থীদের মাথায় নিতে চাওয়া পদ্ধতিমালা এসবগুলো বিষয়ের : বিচ্ছিন্ন যোগসূত্র।
কোন মতে পাশ করে আশা শিক্ষার্থী, শ্রেণি কক্ষে উপর্যুপরি মাথায় ঢুকানোর জন্য কষ্টদায়ক- আনন্দহীন- পড়া চাপ, অছাত্রদের ছাত্র হিসেবে ক্লাসে নেয়া, অপর্যাপ্ত সময়, শিক্ষার সাথে খাপ খাইয়ের নেয়ার মতো দৃঢ় মেন্টালিটির অভাব : কিংকর্তব্যবিমুঢ়।