বেসিক কম্পিউটার

যা শিখবো তার উপর আমাদের সাধারণ ধারনা থাকা উচিত।
এসো  জেনে নিই শুরুতে আমরা কি কি শিখবো।

কি কি জানবো?
  • কম্পিউটর কি? 📂 কোনগুলোকে কম্পিউটার বলে? 📂 
  • কম্পিউটার দিয়ে কি কি করা যায়? 
  • কম্পিউটার দেখতে কেমন?
  • কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে?
  • কম্পিউটার দিয়ে কাজ করতে হলে কিভাবে করতে হয়?
  • কম্পিউটারের কোন কোন বিষয় জানতে হবে?
কম্পিউটর কি?
Computer শব্দটি গ্রিক শব্দ Compute শব্দ থেকে এসেছে। Compute  শব্দের অর্থ গণনা করা।Computer শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। মূলতঃ এটি তৈরি করা হয়েছিল গণনার জন্য। কিন্তু বর্তমানে এটি জটিল ও কঠিন হিসাব-নিকাশ ছাড়াও আরো অনেক কাজে ব্যবহার হচ্ছে কম্পিউটার। কম্পিউটারের কাজের গতি হিসেব করা হয় ন্যানো সেকেন্ডে। ন্যানো সেকেন্ড হল এক সেকেন্ডের একশ কোটি ভাগের একভাগ। ইলেকট্রনিক প্রবাহের মাধ্যমে এটি তার যাবতীয় কার্য সম্পাদন করে।

কম্পিউটার দেখতে কেমন

ডেস্কটপ কম্পিউটার
ল্যাপটপ কম্পিউটার



কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্র
  • অফিস বেবস্থাপনা (In office Management)
  • শিল্প ক্ষেত্রে (In Industry Sector)
  • মুদ্রণ শিল্পে (In Printing Industry)
  • যোগাযোগ ব্যবস্থায় (In Communication)
  • চিকিৎসা ক্ষেত্রে (In Medical Sector)
  • গবেষণায় (In Research)
  • ব্যাংকিং জগতে (In Banking)
  • আদালত (In Court)
  • সামরিক ক্ষেত্রে (In Defence Sector)
  • অর্থবাজারে (In Billing System)
  • কৃষি ক্ষেত্রে (In Agriculture)
  • সংস্কৃতি ও বিনোদনে (In Cultures and Recreation)
  • তথ্য পরিসংখ্যানে (In Information Statistics)
  • ডিজাইনে (In Design)
  • আবহাওয়ার পূর্বাভাসে (In Weather Forecast)
বিস্তারিত বর্ণনা
কম্পিউটার একটি আধুনিক অত্যন্ত দ্রুতি গতি সম্পন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। অন্যান্য ইলেট্রনিক্স যন্ত্রের সাহায্যে দুই-তিনটির বেশী কাজ করা যায় না। কিন্তু কম্পিউটারের সাহায্যে অনেক রকম দুরূহ কাজ নিখুতভাবে করা সম্ভব। কম্পিউটারের প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য হল ১. এটি লক্ষ লক্ষ তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে, ২. অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ও নির্ভুলভাবে নির্দেশিত নির্দেশসমূহ পালন করতে পারে। কম্পিউটার শব্দটি গ্রীক compute শব্দ থেকে এসেছে। compute শব্দের অর্থ হচ্ছে গণনা করা। মূলত কম্পিউটার (computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। (আবার ল্যাটিন শব্দ Computer ও থেকে Computer শব্দের উৎপত্তি বলে ও মনে করে )
পূর্বে কম্পিউটার দিয়ে শুধুমাত্র হিসাব-নিকাশের কাজ করা হত। ইলেকট্রনিক সংকেতের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে কম্পিউটার ল্যাংগুয়েজ বা কম্পিউটার ভাষা। কম্পিউটারের ল্যাংগুয়েজ এর মাধ্যমে কম্পিউটারে যে নির্দেশ দেয় তারই ভিত্তিতে কম্পিউটার ফলাফল প্রকাশ করে থাকে। কম্পিউটারের এ ভাষা/ল্যাংগুয়েজই হল কম্পিউটারের প্রোগ্রাম। প্রোগ্রাম ব্যতীত কম্পিউটার একটি জড় পদার্থ।

কম্পিউটার এর সংজ্ঞা ঃ
কম্পিউটার হলো একগুচ্ছ বৈদুতিক তরঙ্গকে নিজস্ব সংকেতে রুপান্তর করে ব্যবহারকারী কর্তৃক প্রয়োগকৃত কমান্ডের সাহ্যাযে্য উদ্ভূ সমস্যার সমাধান করে থাকে"।

প্রয়োগের তারতম্যের ভিত্তিতে কম্পিউটারকে দুভাগে ভাগ করা যায়।
সাধারণ ব্যবহারিক কম্পিউটার।
বিশেষ ব্যবহারিক কম্পিউটার।
আবার কম্পিউটারের গঠন ও প্রচলন নীতির ভিত্তিতে একে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
এনালগ কম্পিউটার।
ডিজিটাল কম্পিউটার।
হাইব্রিড কম্পিউটার।
আকার, সামর্থ্য, দাম ও ব্যবহারের গুরুত্বের ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটারকে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায়।
মাইক্রো কম্পিউটার।
মিনি কম্পিউটার।
মেইনফ্রেম কম্পিউটার।
সুপার কম্পিউটার।
মাইক্রো কম্পিউটার আবার তিন ভাগে ভাগ করা হলো : 
ল্যাপটপ কম্পিউটার 
ডেস্কটপ কম্পিউটার
সুপার মাইক্রো কম্পিউটার 
ল্যাপটপ কম্পিউটার আবার দুই ভাগে ভাগ করা হলো : 
নোট বুট
পিডিএ

নিচে কম্পিউটারের পূর্ণাঙ্গ শ্রেণীবিভাগ দেখানো হলো :
এনালগ কম্পিউটার
যে কম্পিউটার একটি রাশিকে অপর একটি রাশির সাপেক্ষে পরিমাপ করতে পারে,তাই এনালগ কম্পিউটার। এটি উষ্ণতা বা অন্যান্য পরিমাপ যা নিয়মিত পরিবর্তিত হয় তা রেকর্ড করতে পারে।মোটর গাড়ির বেগ নির্ণায়ক যন্ত্র এনালগ কম্পিউটারের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
ডিজিটাল কম্পিউটার
ডিজিটাল কম্পিউটার দুই ধরনের বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ দ্বারা সকল কিছু প্রকাশ করা হয়। ভোল্টেজের উপস্থিতিকে ১ এবং অনুপস্থিতিকে ০ দ্বারা প্রকাশ করা হয় এটি যে কোন গণিতের যোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে এবং বিয়োগ,গুণ ও ভাগের মতো অন্যান্য অপারেশন সম্পাদন করে। আধুনিক সকল কম্পিউটার ডিজিটাল কম্পিউটার।
হাইব্রিড কম্পিউটার
হাইব্রিড কম্পিউটার হলো এমন একটি কম্পিউটার যা এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। সুতরাং বলা যায়, প্রযুক্তি ও ভিত্তিগত দিক থেকে এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের আংশিক সমন্বয়ই হচ্ছে হাইব্রিড কম্পিউটার। সাধারণত হাইব্রিড কম্পিউটারে তথ্য সংগ্রহ করা হয় অ্যানালগ পদ্ধতিতে এবং গণনা করা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। যেমন আবহাওয়া দপ্তরে ব্যবহৃত হাইব্রিড কম্পিউটার অ্যানালগ পদ্ধতিতে বায়ুচাপ,তাপ ইত্যাদি পরিমাপ করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।
মেইনফ্রেম কম্পিউটার
মিনি কম্পিউটার
যে কম্পিউটার টার্মিনাল লাগিয়ে প্রায় এক সাথে অর্ধ শতাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে তাই মিনি কম্পিউটার। এটা শিল্প-বাণিজ্য ও গবেষণাগারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যেমন – pdp-11,ibms/36,ncrs/9290, IBM 9375.
মাইক্রো কম্পিউটার
মাইক্রো কম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বলেও অভিহিত করা হয়। ইন্টারফেস চিপ (Mother Board) , একটি মাইক্রোপ্রসেসর cpu, ram, rom, hard disk etc. সহযোগে মাইক্রো কম্পিউটার গঠিত হয়। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে এ কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়।ম্যকিনটোস আইবিএম পিসি এ ধরনের কম্পিউটার।
সুপার কম্পিউটার
অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলে। এ কম্পিউটারের গতি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১ বিলিয়ন ক্যারেক্টর। নো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্হাপনা করার মতো স্মৃতিভান্ডার বিশিষ্ট কম্পিউটার হচ্ছে সুপার কম্পিউটার। CRAY 1, supers xll এ ধরনের কম্পিউটার।
ট্যাবলেট কম্পিউটার
ট্যাবলেট কম্পিউটার এক ধরণের মাইক্রো কম্পিউটার। যা পাম টপ কম্পিউটার নামে পরিচিত। এটি স্পর্শপর্দা সম্বলিত প্রযুক্তি। এটি এন্ড্রোয়েড এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলে।

@templatesyard